বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
হত্যাকান্ড, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসায়ী, দুর্ধর্ষ অপরাধী গ্রেফতারসহ যেকোন চাঞ্চল্যকর ঘটনার ইতি টেনে একের পর এক কর্ম দক্ষতার প্রমান রাখছে টিম কোতোয়ালী পুলিশ। খুব অল্প সময়ে প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত,গ্রেফতার টিম কোতোয়ালীর বড় ম্যাজিক। আর এ ম্যাজিকের প্রভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত অপরাধীরা। সন্তুষ্ট সাধারণ জনগণ।
টিম কোতোয়ালীর প্রতিটি সফলতার পেছনে রয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন এক টিম ওয়ার্ক ও দক্ষ নির্দেশনা। চাঞ্চল্যকর যেকোন ঘটনায় থানা পুলিশ চরম ব্যস্ত হয়ে পড়লেও ওসি শাহ কামাল আকন্দের কোল্ডহেডেট (ঠান্ডা মাথা) নির্দেশনা সফলতার অন্যতম নেয়ামক। অন্যদিকে নির্বিঘ্নে অপরাধীর পদচিহ্ন অনুসরণে উস্তাদ কেমোফ্লাইজার (ছদ্মবেশী) এসআই মিনহাজ। কোন অপরাধীর পিছু নিলে ওই অপরাধীর নিরাপদ পালানোর জায়গা একমাত্র এস আই মিনহাজের হ্যান্ডকাপ। সাথে আছে নিরব সোসিং এক্সপার্ট এসআই নিরুপম নাগ। অপরাধীর সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে তদন্তের সঠিক উপস্থাপনে দক্ষ ইন্সপেক্টর ফারক আহমেদ, এসআই নুরমোহাম্মদ ।
প্রতি মাসে জেলা পুলিশের দক্ষ পুলিশ সদস্যদের মূল্যায়ন ও পুরস্কার প্রদানের রীতিটি ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যানে জনগণ এখন জানতে পারছে। নিজ কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস বাড়ছে জনগণের। সচেতন মহল ও সাধারণ জনগণ জেলা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
ঈদুল ফিতরে দিন পৃথক দুই রিক্সা চালক খুনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আট ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে টিম কোতোয়ালী। জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় গতকাল পুরস্কৃত হলো টিম কোতোয়ালী। জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এই পুরস্কার প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম,শামীম হোসেন,ফাল্গুনী নন্দীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ।
এবারো অফিসার ইনচার্জের শ্রেষ্ঠত্বের আসন অর্জন করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ। শ্রেষ্ঠ এসআই শাহ মিনহাজ,
শ্রেষ্ঠ এএসআই রেজাউল করিম। মামলা তদন্তে ইন্সপেক্টর ফারুক আহমেদ ও এস আই নিরুপম নাগ, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারে
এসআই নূর মোহাম্মদ, এসআই উত্তম চক্রবর্তী,
এসআই মাসুদ জামালী।