বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
হার্টের রোগীদের জন্য সুসংবাদ। আর নয় ঢাকায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই হবে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা। হার্টের ব্লক হয়ে যাওয়া রক্তনালি বেলুন ও রিং (স্টেন্ট) এর মাধ্যমে সচল করা যাবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরীব রোগীরাও পাবে হার্টের চিকিৎসা।
এসব কার্যক্রম করতে যে মেশিনের প্রয়োজন তাকে ক্যাথল্যাব বলে। যেটি ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়ে গেছে। কার্যক্রম শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। স্থাপনের ৫৭ বছর পর চিকিৎসা সেবায় আরও একধাপ এগিয়ে গেলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সুসংবাদটি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ।
২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে এগারোটায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে ক্যাথল্যাব স্থাপনের খবরটি প্রকাশ করেন হাসপাতালের পরিচালক। স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলোঃ-
#ক্যাথল্যাব_কি?
এই মেশিন দিয়ে হৃদরোগ বিষেশজ্ঞগন হার্টের নিজস্ব রক্তনালির রক্তচলাচল কেমন আছে তা সরাসরি দেখতে পারেন, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বন্ধ রক্তনালির রক্তচলাচল বেলুন ও রিং (স্টেন্ট) এর মাধ্যমে সচল করে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে হার্ট এটাকের রোগীগন পুনরায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে পান।
#এনজিওগ্রাম_কি?
হার্টের নিজস্ব রক্তনালির রক্তচলাচল কি অবস্থায় আছে সেটি দেখার পদ্ধতির নাম এনজিওগ্রাম।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথল্যাবে এটি করা হবে। এটা হার্টের রক্ত নালীর একটি পরীক্ষা। চিকিৎসা নয়।
★এনজিওগ্রাম করলেই রিং বা স্টেন্ট পরাতে হয় না, তবে রক্তনালির ভেতরে রক্তচলাচল বেশী কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই বেলুন এর মাধ্যমে রিং বা কার্ডিয়াক স্টেন্ট স্থাপন করতে হবে।
এই রিং বা স্টেন্ট পরানোর পদ্ধতিকেই এনজিওপ্লাস্টি বলে। এটা চিকিৎসা।
সরকারি হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত এনজিওগ্রামের ফি রয়েছে।
এছাড়া এনজিওপ্লাস্টির জন্য অর্থাৎ রিং বা স্টেন্ট পরানোর জন্য প্রয়োজনীয় বেলুন, স্টেন্ট, ক্যাথেটার সহ অন্যান্য উপকরণ এর সরকার নির্ধারিত মুল্য রয়েছে।
এগুলো সংশ্লিষ্ট রোগীকে বহন করতে হবে। মুল্যতালিকা কার্ডিওলজি বিভাগে দেয়া থাকবে।
★এছাড়াও টেম্পোরারি পেসমেকার, পার্মানেন্ট পেসমেকার স্থাপন করার কাজ ও চলবে সরকারি মুল্যেই।
★গরীব রোগীদের হতাশ হবার কারন নেই।যথাযথ প্রমান সাপেক্ষে ফ্রী এনজিওগ্রাম এবং প্রয়োজনে ফ্রী স্টেন্ট পরানোর ব্যবস্থা করা হবে। যতদিন আল্লাহ আমাকে তৌফিক দেন।
★উল্লেখ্য রিং বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মাপের রয়েছে, এবং এগুলোর দাম সরকারি ওসুধ প্রশাসন থেকে নির্ধারণ করা রয়েছে।
সকল ব্যায় সরকারি রশিদ এর মাধ্যমে হবে।
★আপনাদের হাসপাতাল।এর সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমি চলে গেলেও এ হাসপাতালের স্বাভাবিক গতির জন্য আপনাদের সবার দায়িত্ব আছে; যাতে হাসপাতাল দুর্বৃত্ত দের আস্তানা না হয়। আল্লাহর সুবহানাল্লাহ এর দয়ায় তার একজন অতি নগন্য দাস হিসেবে আমি ৪ বছর ৩ মাস নিরলস ভাবে আপনাদের সহযোগিতায় যতটা সম্ভব করেছি। সব পারিনি। আপনারা হাসপাতাল কে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার প্রাপ্য
বিনীত
পরিচালক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।