বিকাল ৪:০২ | শনিবার | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা,জ্বালাও পোড়াও, পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পর আহুত হরতার, অবরোধের বিরুদ্ধে অব্যাহত শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি করছে মহানগর আওয়ামী লীগ।

হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা প্রতিহত করতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমাবেশ থেকে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিয়ে তৎপর রাখছেন। আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের কারণে এখানে অনেটাই কোনঠাসা নাশকতাকারীরা। অন্যদিকে জেলা পুলিশের কঠোর নজরদারি ও অব্যাহত তৎপরতায় নাশকতাকারীরা রয়েছে দ্বিমুখী চাপে। গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে নাশকতা মামলাসহ চিহ্নিত নৈরাজ্যকারীরা।

ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর নেতৃত্বে টাউনহল, গাঙ্গিনারপাড়, চরপাড়া,বাইপাস মোড়,পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে পর্যাক্রমে শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবমহিলা লীগ, শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা সর্বাত্মকভাবে সমাবেশে যোগ দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় ব্রীজ মোড় জয়বাংলা চত্বরে শান্তি সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাহান পারভেজের এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ।

সংবিধানকে সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনে আশার জন্য বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ । সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কেএম হাসন, খালেদা জিয়ার পক্ষ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। সে সময় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন শেখ হাসিনা আর তা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়কের রায় দিয়েছেন। সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে। বিএনপি যদি কখনও ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিতে চায় সেদিনও আওয়ামী লীগ নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে।

মোহিত উর রহমান শান্ত বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিগত নির্বাচনে আপনারা অংশগ্রহণ করেননি, আওয়ামী লীগ দুইবার ক্ষমতায়। এ নির্বাচনে না আসলেও আওয়ামী লীগ ওয়াকওভার পাবে। এটি সংবিধানের পদ্ধতি। বিগত সময়ে আপনারা ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রকে যে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের মানুষকে অবমাননা করে। সেই মানুষের সামনে ভোটে দাঁড়ানো বিএনপির কাছে বিভীষিকাময় । কারণ আপনাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দেশের মানুষ জানে।

তিনি বলেন, কুখ্যাত খুনি তারেক জিয়া এবং শেখ হাসিনার মধ্যে থেকে কে প্রধানমন্ত্রী হবে এই প্রশ্নে মানুষ এক বাক্যে শেখ হাসিনাকে বেছে নিবে। তারেক রহমান খাম্বার ব্যবসা করে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের মানুষের কাজ থেকে শুষে নিয়েছে। মানুষ খাম্বা পেয়েছে বিদ্যুৎ পাইনি। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে দেশে নির্বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করেছেন। শুধুমাত্র সেচের জন্য নয় বাণিজ্যিক উন্নয়নে বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

বিগত ২৫ বছরের ব্যবধানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ তুলে ধরে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, চাল ব্যতীত সকল পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। যতদিন যায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। সাথে মানুষের জীবন মানে উন্নয়ন ঘটে। তিনি ২০০৮ সালে পেঁয়াজের দাম এবং বর্তমান দামের তুলনা করে বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণ প্রমাণ করেন। এক্ষেত্রে অতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পৃথিবীতে চলমান যুদ্ধ অবস্থা কে দায়ি করেন। তিনি বলেন, অতিবৃদ্ধির কারণ আমাদের আমদানি নির্ভর পণ্য। এছাড়া দেশে উৎপাদিত কৃষি পন্যের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি মধ্যস্বত্তভোগী ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। তিনি বলেন,কৃষক উৎপাদিত পন্যের সঠিক মূল্য পায়না। এক্ষেত্রে সরকার কৃষকের উৎপাদিত পন্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই সাথে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ সংকট উত্তরণের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যখন আওয়ামী লীগের দোষ খুঁজে পায়না। তারা যখন দেখে দেশের সকল সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে তখন তারা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কথা বলে সরকারকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম যখন দ্বিগুণ তখন একজন শিক্ষকের বেতন অতীতের তুলনায় চারগুণ। আগে যখন একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা বেতন পেতেন এখন পান ২৫ হাজার টাকা। আর একজন রিকশাচালক সারাদিনে ন্যূনতম এক হাজার টাকা ইনকাম করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ গ্রামগঞ্জে সড়ক করে দিয়েছেন। যে সড়কে একজন রিকশাচালক দ্রুততার সাথে অতীতের তুলনায় বর্তমানে একাধিকবার টিপ মেরে তার ইনকামকে বৃদ্ধি করেছেন।

মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। আজকে মেধার ভিত্তিতে স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন। অতীতে তদবিরে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এখন তা সম্ভব নয়। চাইলেও কেউ মেধা ক্রমকে অনুসরণ না করে ভর্তি হতে পারবেনা। এখন কারও অধিকার খর্ব হবেনা।
তিনি বলেন, আমাদের আপনাদের ভুলে যদি আবার বিএনপি জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ বিগত ২৫ বছরে ফিরে যাবে। বাংলা ভাই,আব্দুর রহমানদের সৃষ্টি হবে, মুজাহিদদের গাড়িতে আবারো দেশের পতাকা উঠবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছরে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যা যা করেছেন তা আবার পূর্বের জায়গায় ফিরে যাবে।

বিএনপিকে মূর্খের দল সম্বোধন করে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছে বিএনপি জামায়াত। আপনারা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তা বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখনই করা যেত। দক্ষিণ কোরিয়া বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপিকে। সে সময় তারেক রহমান তথ্য চুরি হয়ে যাবে বলে প্রজেক্টটি বাতিল করে দেয়। এমন মূর্খের দল ছিল বিএনপি জামায়েত।
তিনি বলেন, এক সময়ে দেশের মোঙ্গা এলাকা উত্তরবঙ্গে ভারতের লক্ষী মিত্তাল ইস্পাত কারখানা করতে চেয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার সুপুত্র তারেক রহমান পারর্সেন্টিজ চাইলে সে প্রজেক্টও হয়নি। বিএনপির এসব কর্মকান্ড দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না বিএনপি তা টের পেয়ে গেছে। তাই তারা এখন বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এনে এর জবাব দিবে। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ খবর



» এমপি মোহিত উর রহমানের সহায়তায় ১১০ জনের চোখের ছানি অপারেশন সম্পন্ন

» উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আশরাফ-সাঈদ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস, ১৪ জন বৈধ ঘোষিত

» আগামীকাল ময়মনসিংহ মেতে উঠবে স্বাধীনতা কনসার্টে

» ভাষা শহীদদের প্রতি সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর শ্রদ্ধাঞ্জলী

» ১৪৭ বেকার তরুণ তরুণীকে চাকুরির প্রস্তুতি কর্মশালা করালেন এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত

» হালুয়াঘাট-ধোবাউড়ায় ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ; কৃষি সেচে গুরুত্ব এমপির

» ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আবু সাঈদ

» সংবর্ধনা বাতিল করে শীতার্তদের মাঝে এমপি মোহিত উর রহমানের কম্বল বিতরণ

» ব্রহ্মপুত্রে নৌকায় চড়ে অনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» ময়মনসিংহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উল্লাসভরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সমাবেশ

» লেঃ কর্ণেল (অবঃ)নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের অবসান

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহিত উর রহমান শান্ত

» আবারও জাপাকে দিলে জনগনের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ

» ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত

» জনসভায় জনসমুদ্র ; সদরের প্রত্যাশা মোহিত উর রহমান শান্ত

আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com

,

basic-bank

সংবিধান মেনে নির্বাচনে আসেন, আমরাও আসবো-বিএনপিকে মোহিত উর রহমান শান্ত

বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা,জ্বালাও পোড়াও, পুলিশ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পর আহুত হরতার, অবরোধের বিরুদ্ধে অব্যাহত শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি করছে মহানগর আওয়ামী লীগ।

হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা প্রতিহত করতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমাবেশ থেকে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিয়ে তৎপর রাখছেন। আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থানের কারণে এখানে অনেটাই কোনঠাসা নাশকতাকারীরা। অন্যদিকে জেলা পুলিশের কঠোর নজরদারি ও অব্যাহত তৎপরতায় নাশকতাকারীরা রয়েছে দ্বিমুখী চাপে। গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে নাশকতা মামলাসহ চিহ্নিত নৈরাজ্যকারীরা।

ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর নেতৃত্বে টাউনহল, গাঙ্গিনারপাড়, চরপাড়া,বাইপাস মোড়,পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে পর্যাক্রমে শান্তি সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবমহিলা লীগ, শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা সর্বাত্মকভাবে সমাবেশে যোগ দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় ব্রীজ মোড় জয়বাংলা চত্বরে শান্তি সমাবেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাহান পারভেজের এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দ।

সংবিধানকে সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনে আশার জন্য বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ । সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কেএম হাসন, খালেদা জিয়ার পক্ষ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। সে সময় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন শেখ হাসিনা আর তা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়কের রায় দিয়েছেন। সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে। বিএনপি যদি কখনও ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিতে চায় সেদিনও আওয়ামী লীগ নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে।

মোহিত উর রহমান শান্ত বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিগত নির্বাচনে আপনারা অংশগ্রহণ করেননি, আওয়ামী লীগ দুইবার ক্ষমতায়। এ নির্বাচনে না আসলেও আওয়ামী লীগ ওয়াকওভার পাবে। এটি সংবিধানের পদ্ধতি। বিগত সময়ে আপনারা ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রকে যে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের মানুষকে অবমাননা করে। সেই মানুষের সামনে ভোটে দাঁড়ানো বিএনপির কাছে বিভীষিকাময় । কারণ আপনাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দেশের মানুষ জানে।

তিনি বলেন, কুখ্যাত খুনি তারেক জিয়া এবং শেখ হাসিনার মধ্যে থেকে কে প্রধানমন্ত্রী হবে এই প্রশ্নে মানুষ এক বাক্যে শেখ হাসিনাকে বেছে নিবে। তারেক রহমান খাম্বার ব্যবসা করে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের মানুষের কাজ থেকে শুষে নিয়েছে। মানুষ খাম্বা পেয়েছে বিদ্যুৎ পাইনি। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে দেশে নির্বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করেছেন। শুধুমাত্র সেচের জন্য নয় বাণিজ্যিক উন্নয়নে বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

বিগত ২৫ বছরের ব্যবধানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ তুলে ধরে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, চাল ব্যতীত সকল পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। যতদিন যায় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। সাথে মানুষের জীবন মানে উন্নয়ন ঘটে। তিনি ২০০৮ সালে পেঁয়াজের দাম এবং বর্তমান দামের তুলনা করে বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণ প্রমাণ করেন। এক্ষেত্রে অতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পৃথিবীতে চলমান যুদ্ধ অবস্থা কে দায়ি করেন। তিনি বলেন, অতিবৃদ্ধির কারণ আমাদের আমদানি নির্ভর পণ্য। এছাড়া দেশে উৎপাদিত কৃষি পন্যের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি মধ্যস্বত্তভোগী ও সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। তিনি বলেন,কৃষক উৎপাদিত পন্যের সঠিক মূল্য পায়না। এক্ষেত্রে সরকার কৃষকের উৎপাদিত পন্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই সাথে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এ সংকট উত্তরণের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যখন আওয়ামী লীগের দোষ খুঁজে পায়না। তারা যখন দেখে দেশের সকল সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে তখন তারা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কথা বলে সরকারকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম যখন দ্বিগুণ তখন একজন শিক্ষকের বেতন অতীতের তুলনায় চারগুণ। আগে যখন একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা বেতন পেতেন এখন পান ২৫ হাজার টাকা। আর একজন রিকশাচালক সারাদিনে ন্যূনতম এক হাজার টাকা ইনকাম করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ গ্রামগঞ্জে সড়ক করে দিয়েছেন। যে সড়কে একজন রিকশাচালক দ্রুততার সাথে অতীতের তুলনায় বর্তমানে একাধিকবার টিপ মেরে তার ইনকামকে বৃদ্ধি করেছেন।

মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। আজকে মেধার ভিত্তিতে স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন। অতীতে তদবিরে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এখন তা সম্ভব নয়। চাইলেও কেউ মেধা ক্রমকে অনুসরণ না করে ভর্তি হতে পারবেনা। এখন কারও অধিকার খর্ব হবেনা।
তিনি বলেন, আমাদের আপনাদের ভুলে যদি আবার বিএনপি জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ বিগত ২৫ বছরে ফিরে যাবে। বাংলা ভাই,আব্দুর রহমানদের সৃষ্টি হবে, মুজাহিদদের গাড়িতে আবারো দেশের পতাকা উঠবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছরে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যা যা করেছেন তা আবার পূর্বের জায়গায় ফিরে যাবে।

বিএনপিকে মূর্খের দল সম্বোধন করে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি বাধা দিয়েছে বিএনপি জামায়াত। আপনারা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তা বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখনই করা যেত। দক্ষিণ কোরিয়া বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপিকে। সে সময় তারেক রহমান তথ্য চুরি হয়ে যাবে বলে প্রজেক্টটি বাতিল করে দেয়। এমন মূর্খের দল ছিল বিএনপি জামায়েত।
তিনি বলেন, এক সময়ে দেশের মোঙ্গা এলাকা উত্তরবঙ্গে ভারতের লক্ষী মিত্তাল ইস্পাত কারখানা করতে চেয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার সুপুত্র তারেক রহমান পারর্সেন্টিজ চাইলে সে প্রজেক্টও হয়নি। বিএনপির এসব কর্মকান্ড দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না বিএনপি তা টের পেয়ে গেছে। তাই তারা এখন বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এনে এর জবাব দিবে। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সর্বশেষ খবর



এ বিভাগের অন্যান্য খবর



আমাদের সঙ্গী হোন

যোগাযোগ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় –

২২ সি কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ
বার্তা কক্ষ : ০১৭৩৬ ৫১৪ ৮৭২
ইমেইল : dailyjonomot@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বাত্বাধিকার দৈনিক জনমত .কম

কারিগরি সহযোগিতায় BDiTZone.com