বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
ময়মনসিংহে ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সিটি করপোরেশন কর্তৃক উচ্ছেদে সর্বস্থরের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। তাদের বদ্ধমূল ধারনা নামের জন্যই কি স্কুলটি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে?
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া ফুলবাড়িয়া রোডের পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনার ভাগাড় পরিস্কার করে এলাকাবাসীর উদ্যােগে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। যা গত ৯ নভেম্বর সিটি করপোরেশন বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় স্কুলটির শিক্ষক কর্মচারীরা ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্কুলটি পুনরায় চালুর জন্য জমিটি লীজে পেতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে তাদের স্কুল ফিরে পেতে।
শুধু শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই নয় ময়মনসিংহের সর্বস্থরের জনগণ ও সচেতন নাগরীরকা স্কুলটি রক্ষায় দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ১৯,২৮,২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগ মহানগর শাখার পর আজ ১৮ নভেম্বর মানববন্ধন করেছে ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ।
মানববন্ধন থেকে পুনরায় স্কুলটি চালুর জন্য দাবি জানানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে স্কুলটির জমি সংলগ্ন স্থানে একাধিক সমিতি, নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী গড়ে উঠতে পারলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন উচ্ছেদের নামে গুড়িয়ে দেয়া হলো? স্কুলটি সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের প্রায়ত পুত্র ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভর নামে হওয়ার কারনেই কি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন উঠেছে মানববন্ধন থেকে।
উল্লেখ ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুভ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীর পর্যন্ত ২৬০ জন নারী শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে যাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর জীবন চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ এ স্কুলটিতে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিন্ম আয়ের পরিবার থেকে এখানে বিনাবেতনে পড়ালেখা করতো।
নারী শিক্ষায় অগ্রজ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তি ঘটলে ময়মনসিংহ হারাবে নারী শিক্ষায় অবদান রাখা একটি প্রতিষ্ঠান। আর এর জন্য জনতা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনকে নারী শিক্ষার বৈরিতাকেই দায়ি করবে বলে বলেন মানববন্ধনের বক্তারা।